সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
খুলনা ব্যুরো::
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে পর পর দুটি গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা।
শুক্রবার এক ধর্ষিতা নারীকে পুলিশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়েছে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য। পুলিশ পৃথক দুই মামলায় তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামীরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ফুলতলা উপজেলার ডাউকোনা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে জনৈক নারী দেবর বাচ্চুকে সাথে নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা গ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তারা ধামালিয়া ইউনিয়নের বরূনা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গেলে স্থাণীয় মেম্বর মো: নুর ইসলাম ও মাহবুর রহমান মোল্লাসহ কয়েকজন বাচ্চুকে মারপিট করে। তারা ওই নারীকে নুর ইসলামের বাড়ির কিছু দুরে বাগানের মধ্যে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ওই রাতে বাচ্চুকে বরূনা বাজারের নৈশ প্রহরীর নিকট দিয়ে বলে সকাল হলে ছেড়ে দিতে। আর ওই নারীকে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ওই নারী স্বামীর বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনা কাউকে না বলতে ধর্ষকেরা হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার ধর্ষক মাহবুর মোল্লাকে আটক করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে ইউপি মেম্বর নুর ইসলাম, যুবলীগ নেতা মাহবুর মোল্লাসহ ৪ জনের নাম ও অজ্ঞাত একজনকে আসামী করে মামলা করে। মেম্বর নুর ইসলাম ধামালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোল্যা রেজোয়ান হোসেনের আপন ভায়রা ও মাহবুর মোল্লা সম্পর্কে ভাই।
এ বিষয়ে ধামালিয়া ধামালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোল্যা রেজোয়ান হোসেনের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সাজানো। স্থানীয় ক্যাম্পের এক পুলিশের সাথে মাহবুর মোল্যা ও মেম্বর নুর ইসলামের দ্বন্ধের জের ধরে তাদেরকে ফাসাতে এ ঘটনার নাটক করা হচ্ছে।
এদিকে গত সোমবার রাতে ডুমুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে একই জুট মিলে চাকরী করার সুবাদে জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক জুট মিল শ্রমিক। এই ঘটনায় পুলিশ রেজাউল মোড়ল ও আব্দুর রব মোড়লকে গ্রেফতার করে। তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ মামলার অপর দুই ধর্ষক এখনও পলাতক।
গণধর্ষণের এই দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে দুই আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।